হিংস্র ভালোবাসা || পর্ব-৪ || Farhana Chobi || RS-Story24

 

গল্পঃ---হিংস্র ভালোবাসা


লেখিকাঃ--Farhana Chobi

পর্ব- ৪

হিংস্র_ভালোবাসা


.

.

.


মা ফারহা কি হয়েছে দরজা আটকে রেখেছিস কেনো ..??(ফারহার মা)


মিসেস মোহনার গলা পেয়ে ফারহা বেড থেকে উঠে বসে ,,,মা এখন ..!! ওহ গড পেপারস গুলো এখুনি গুছিয়ে ফেলতে হবে নয় তো মা সব টা জেনে যাবে..


দরজা খোলার আগে পেপারস গুলো গুছিয়ে কাবার্ডে রেখে দরজা খুলে দেয় ফারহা.....


কি হয়েছে মা এভাবে দরজায় কেনো নক করছো কোন প্রব্লেম..???


তোর বাবা তোকে ডাকছে..কথাটা বলে মিসেস মোহনা রুম থেকে বেরিয়ে যেতেই একমূর্হতের জন্য  ফারহা হয়তো ভেবেছিলো বাবা হয়তো সবটা জেনে গেলো কিন্তু কি ভেবে ফারহা হুট করেই দৌড়ে মিস্টার  আশিকের রুমে চলে গেলো.........

.

.

.

স্যার বিশ্বাস করুন আমি ম্যাডাম কে অপমান করি নি আমি তো শুধু সোহেলের মৃত্যুর ইনকোয়ারি করতে গিয়েছিলাম প্লিজ স্যার আমাকে মাফ করুন ছেড়ে দিন আমাকে ....আমি আর কখনো ম্যাডাম কে বিরক্ত করবো না .....(কাদতে কাদতে বললো )


ঠিক আছে আজ আমি তোকে ছেড়ে দিচ্ছি বাট নেক্টস টাইম ........আঙ্গুল দিয়ে শাশিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেলো মেঘ....এদিকে পুলিশ অফিসার নতুন জীবন পেয়ে যেনো খুশিতে আত্তহারা হয়ে পড়লো তা দেখে আসলাম বলতে লাগলো.....


এতো খুশি হওয়ার কিছু নেই মিস্টার এজাজুল সাহেব(পুলিশ অফিসার ) বিডির প্রথম ইয়াং রিচ বিজনেস ম্যান মেঘ চৌধুরির মন যখন তখন ঘুরে যেতে পারে আর আপনি তো তার কলিজায় আঘাত করেছেন এতো সহজে বসের হাত থেকে ছাড় পাবেন বলে মনে হয় না ,,,কথাটা বলে এক পৌশাচিক হাসি দিলো আসলাম ,,,অফিস্যার এতোক্ষন আসলামের কথা গুলো মনোযোগ সহকারে শুনতে লাগলো কিন্তু লাস্ট কথাটা শুনে অফিস্যারের কলিজা শুকিয়ে যাওয়ার মতো অবস্তা আসলাম অফিস্যারের অবস্তা দেখে বেশ মজা নিতে নিতে বলে দ্বিতীয় বার যদি আপনি মেঘ চৌধুরি বা ফারহা ম্যাডামের সামনে আসেন তো তাহলে....বাকি টা বলতে না দিয়ে অফিস্যার বলে উঠলো না না কখনো না আমি আমার বউ বাচ্চার কছম দিয়ে বলছি আমি এই জীবনে আর স্যার আর ম্যাডামের সামনে আসবো না.....


নাও গেষ্ট লষ্ট নাহলে আর এই জীবন নিয়ে ফিরে আসতে পারবেন না..


অফিস্যার ধুমকেতুর মতো ছুটে বেরিয়ে গেলো জান নিয়ে কিন্তু এদিকে আসলাম গভীর ধ্যানে পরে গেলো.হঠাৎ করে ফোনের আওয়াজে  আসলামের ধ্যান ভাঙ্গে ফোনের স্কিনে  তাকিয়ে দেখে আরহান চৌধুরীর কল দেরি না করে কল টা রিসিব করলো আসলাম....


-আসসালামু আলাইকুম স্যার .!!!(আসলাম)

- ওলাইকুম আসসালাম আসলাম তোমার সাথে আমার জরুরি কিছু কথা আছে জি কে ক্লাবে সন্ধে ঠিক ৮ টায় আমার সাথে দেখা করবে ওকে...(আরহান চৌধুরী )

-ইয়েস স্যার ,,,,,


আসলামের কথা শেষ হতেই আরহান চৌধুরী কল টা ডিসকানেক্ট করে চায়ের কাপেঁ চুমুক দেয়....


ড্যাড আমরা যা করছি ঠিক করছি তো...???( মিহু)


মেঘের হাত থেকে ফারহা কে বাচানোর এর থেকে ভালো উপায় আমার জানা নেই মিহু...(আরহান চৌধুরী )


মানলাম ড্যাড বাট ভাই কে এবার চিকিৎসা করাতে হবে নয় তো দিন দিন আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে .....(মিহু)


মিহু তুমি খুব ভালো করেই ফারহা কে চিনো ও যদি একবার নিজের আসল রুপে ফিরে আসে তাহলে আমাদের ধংস নিশ্চিত ......(আরহান চৌধুরী)


ইউ আর রাইট ড্যাড ,তুমি যা ভালো মনে করো তাই করো যদি আমার হেল্পের প্রয়োজন হয় তাহলে বলো প্লিজ...(মিহু)


ওকে মিহু এখন তুমি তোমার মম কে নিয়ে নানু বাড়ি থেকে ঘুরে আসো তোমার মম কাল থেকে তোমার নানু বাড়ি যাবে বলে জেত করে আছে আজ তুমি তোমার মম কে সাথে করে নিয়ে যাও....


ওকে ড্যাড ,,,,,মিহু চলে যেতেই আরহান চৌধুরী ফাইল মুখের সামনে ধরে আছে দেখে মনে হচ্ছে খুব গভির  মনোযোগ দিয়ে ফাইল দেখছে কিন্তু সেই গভীর মনোযোগ ভিতর আরহান চৌধুরীর কাপালে চিন্তার ভাজ এই চিন্তা মেঘের জন্য নয় চিন্তা ফারহার জন্য যে মেয়ে নিজের স্বার্থের জন্য ভয়ঙ্কর রুপ নিতে দ্বিধাবোধ করে না সে মেয়ের কাছে ভালোবাসার মূল্য থাকে কি করে.....

.

.

.

.

বাবা আমাকে ডেকেছো..??(ফারহা)


হুমম এখানে বসো চেয়ার দেখিয়ে বললো ফারহার বাবা..


মা ফারহা কিছুক্ষণ আগে আগুন ফোন করেছিলো আমাকে ....(ফারহার বাবা)


ফারহা না জানার ভান করে জানতে চাইলো কি বললো আগুন..??(ফারহা)


খুব তারাতারি দেশে ফিরছে আর আমি ডিসাইড করেছি আগুন দেশে ফিরলে তোমার বিয়েটা আমি ফিক্সট করে ফেলবো....


বাবা এতো জ্বলদি কেনো আর ও কিছুদিন পর না হয় ...!!!


আমি তোমার ডিসিশন শুনতে চাইনি আমি আমার ডিসিশন জানাতে তোমাকে এখানে ডেকেছি , একবার নিজের হাতে তুমি তোমার জীবন টা নষ্ট করেছো আর না এবার আমি যা বলবো তোমাকে এবার তাই করতে হবে গট ইট......


ফারহা মিস্টার আশিকের কথার কোন উওর না দিয়ে হুট করেই রুম থেকে বেরিয়ে ছাদে চলে এসে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে একদৃষ্টিতে ......


কেনো মেঘ কেনো করলে এটা আমার সাথে ..?? তুমি আমার জীবন টা ধংস করে দিয়ে তো চলে গিয়েছিলে  তাহলে কেনো আবার আমার জীবনে ফিরে আসতে চাইছো মেঘ কেনো..???? চিৎকার করে কাদতে কাদতে বলতে লাগলো ফারহা .........


মেয়েটার সাথে এতোটা কঠোর না হলেও পারতে ফারহার বাবা...(ফারহার মা)


নাহ ফারহার মা আজ যদি কঠোর ভাবে কথা গুলো বলতে না পারতাম তাহলে হয়তো কখনোই কথা গুলো বলতে পারতাম না ,চোখের সামনে নিজের মেয়ের জীবন নষ্ট হতে দেখতে কোন মা বাবা দেখতে চাইবে না ফারহার মা ....


হুম তুমি যা বলেছো ঠিক বলেছো ফারহার বাবা কিন্তু ফারহার মনের অবস্তাটা ও তোমাকে বুজতে হবে ....


আমাকে আর এক কাপ চা দেও ফারহার মা....কথাটা বলে ওয়াসরুমের দিকে চলে গেলো মিস্টার আশিক, মিসেস মোহনা কিছুক্ষন আশিকে চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থেকে ফেলে রাখা চায়ের কাপ টা নিয়ে কিচেনে চলে গেলো......

.

.

.

.

আগুন আগুন আগুন কে এই আগুল  যে আমার কলিজায় হাত দেয় আমি ওর বুক ছিড়ে দেখবো কতো বড় ওর কলিজা যে কলিজা নিয়ে আমার জানপাখি কে বিয়ে করতে চায় ওর কলিজা চাই আমার জোড়ে চিৎকার  কথা গুলো বলার সময় মেঘের চোখ মুখ লাল হয়ে আছে রাগে কপালের রগ টা ফুলে উঠলো ক্লাবের প্রত্যেক টা জিনিস পত্র ভাঙ্গচুর করতে লাগলো মেঘ ,,,আসলাম আগুন কে আমার সামনে দেখতে চাই .....(মেঘ)


জ্বি..জ্বি বস ,আল্লাহ গো বসের মাথা ঠান্ডা করে দেও নয় তো ওনার এই হিংস্র ভালোবাসার জন্য সব ধংস করে দিবে ওহ আজ তো বসের সাথে মিট করার কথা এখন ৬ টা বেজে ১৯ আমাকে এখনি বের হতে হবে ........


আসলামের ধ্যান ভাঙ্গিয়ে মেঘ বলে উঠলো আসলাম ফারহা কে তুলে নিয়ে আয় এখুনি.....(প্রচন্ড রেগে বলতে থাকে মেঘ)


মেঘের কথা শুনে আসলাম ঘাবড়ে গিয়ে বললো,,বস আজ যদি ম্যাম কে তুলে আনি তাহলে স্যার (আরহান চৌধুরী ) উনি সব টা জেনে যাবে কজ  আমার এবং আপনার পিছুনে স্যারের অনেক লোক আছে যারা আমাদের অলয়েজ ফলো করে ......


আসলামের কথা শুনে মেঘ স্তব্ধ হয়ে গেলো কোন কথা যেনো মুখ থেকে বের হতে চাইছে না মেঘ বিশ্বাস করতে পারছে না ওর বাবা ওকে এতোটা অবিশ্বাস করতে পারে ,,মেঘ কিছুক্ষন চুপ থেকে আবার বলে উঠলো ...............

.

.

.

.

#চলবে.....................🔥🔥🔥

(অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন থাকতে পারে মেঘ কেনো এমন টা করছে আর ফারহা বা সব টা লুকাতে চাইছে কেনো সবার সামনে সত্যি টা আসতে দিতে চায় না কেনো ..??? সব প্রশ্নের উওর লুকিয়ে আছে মেঘ ফারহার এক ভয়ঙ্কর অতীতে যার কারনে মেঘ ফারহার থেকে আলাদা হয়ে আছে)

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !