হিংস্র ভালোবাসা 🌹|| পর্ব-১ || Farhana Chobi || RS-STORY24

 গল্পঃ---হিংস্র ভালোবাসা 🌹

লেখিকাঃ--Farhana Chobi

পর্ব-১


হিংস্র_ভালোবাসা

.

.

.

মেঘ তুমি যা করছো একদম ঠিক করছো না .. একটা মেয়ের সাথে তুমি এই রকম ব্যবহার করতে পারো না..(আরহান চৌধুরী )


ইউ নো ওয়াট ড্যাড আই ডোন্ট কেয়ার ,আই রেইলি ডোন্ট কেয়ার ফারহা  শুধু আমার ওকে পেতে হলে যদি আমাকে চরম নিন্ম শ্রেনীর প্রানি হতে হয় তাহলে তা আমি হবো বাট এট এনি কস্ট ফারহা কে আমার চাই সেটা যেই ভাবে হোক না কেনো .....(মেঘ)


মেঘ তোমাকে বোঝানোর ক্ষমতা আমার নেই তবে একটা কথাই বলবো তোমার একটা ছোট বোন আছে একবার ভেবে দেখো তুমি আজ যা যা করছো মেয়ে টার সাথে ঠিক সেই একি কাজ যদি অন্য কেউ তোমার বোনের সাথে করে তাহলে তুমি কি করবে...???


কথাটা বলে আরহান চৌধুরী মেঘের রুম ত্যাগ করলো মেঘ আরহান খানের চলে যাওয়ার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে সিগারেট জ্বালিয়ে শূর্নে ধোয়া ছাড়তে লাগলো সিগারেট শেষ করে ফোন টা বের করে কাউকে কল দিলো মেঘ...


হ্যালো , কাজ টা কম্পিলিট ..??..??(মেঘ)

ইয়েস বস ,বাট লোক টা বেশ ঝামেলা করছে ....(আসলাম)

শুট হিম ....(মেঘ)

ওয়াট কি বলছেন বস ..??

আই সেইড শুট হিম ...রেগে বললো মেঘ...

ইয়েস বস......(আসলাম)


ফোন কানে রাখা অবস্তায় আসলাম লোক টিকে শুট করে দেয় গুলির আওয়াজ পেয়ে মেঘ ডিভানে শরীল এলিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে হাসতে লাগলো.....

.

.

.

.

.

.

আম্মু সোহেল ভাই কে কাল থেকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না চাচী তো সোহেল ভাইয়ের চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পরেছে...(ফারহা)


কি বলছিস কি ফারহা সোহেল কে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না মানে কি পুলিশে খবর দিয়েছে তোর চাচা..??(মিসেস মোহনা )


হা আম্মু , পুলিশ খুজছে সোহেল ভাইয়া কে ....


আল্লাহ যেনো খুব তারাতারি সোহেলের খোজ পাইয়ে দেয়...মিসেস  মোহনা কিচেনে চলে গেলো এদিকে ফারহা বেশ গভির চিন্তায় পরে গেলো....কাল ওই ঘটনার পর থেকেই সোহেল ভাই কে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না এর পিছুনে কি তার হাত আছে ..??নাকি আমি বেশি ভাবছি এরকম কিছুই হয় নি..!!


গতকাল দুপুরে......


কিরে ফারু(ফারহা) আমি আসলাম তোর সাথে দেখা করতে আর তুই রুমে দরজা দিয়ে বসে আছিস কেনো রে আমাকে কি তোর ভালো লাগে না ..?? নাকি আমি দেখতে খুব খারাপ ..কথা টা বলে সোহেল ফারহার একহাত শক্ত করে ধরে খুব বাজে ভাবে ফারহার পিঠে হাত বুলাতে থাকে ...


ভাইয়া এই সব আপনি কি করছেন কি ছাড়ুন আমাকে .আপনি আমার চাচার ছেলে আমি আপনার ছোট বোন আপনি এটা করতে পারেন না ভাইয়া...(কেদে দিয়ে বললো ফারহা)


চুপ একদম চুপ একদম ভাই ভাই বলবি না আমি তোর ভাই হতে আসি নি তোর নাগর হতে এসেছি তোর শরীলের সুবাস নিতে এসেছি ,,,,,,, কথাটা বলে ফারহা কে জরিয়ে ধরতে নিলে ফারহা ওর সর্বোচ্চ শরীলের শক্তি দিয়ে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেয়.....


ছিঃ ছিঃ ছিঃ সোহেল ভাইয়া আপনি এমন কিছু করবেন এটা আমি কখনোই ভাবতে পারিনি আমি ছোট বোন হই আর আপনি আমার সাথে....


কি করেছি আমি তোর সাথে হ্যা বল কি করেছি ,,তেরে গেলো ফারহার দিকে...


সোহেল ভাইয়া আপনি আর একপা ও আমার দিকে এগোলে আমি চিৎকার করতে বাধ্য হবো ,,, ফারহা কথা শুনে দারিয়ে গেলো সোহেল ..


তোকে আমি দেখে নিবো ফারহা তোকে আমি ছাড়বো না কখনো তোকে আমার করেই ছাড়বো হোক না এক রাতের জন্য তবু ও....আগুন চোখে কথা গুলো বলে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো সোহেল.......

.

.

.

.

কিরে ফারহা এখানে দারিয়ে কি ভাবছিস ..??তোর কলেজের লেট হয়ে যাচ্ছে না ..??(মিসেস মোহনা)


হ্যা আম্মু যাচ্ছি..কথা না বারিয়ে রুমে এসে রেডি হয়ে না খেয়েই বেরিয়ে গেলাম ...

এই যে মামা উওরা যাবেন..??? 

হ্যা আপা জামু ...


ফারহা রিকশায় উঠতে যাবে তখনি কেউ একজন পিছন থেকে মুখ চেপে ধরে .......

.

.

.

.

আমি বসে আছি সোহেল ভাইয়ার লাশের সামনে কেউ একজন সোহেল ভাইয়া কে এতোটা হিংস্র ভাবে খুন করতে পারে তা নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না , আমার চোখ কেমন ঝাপসা হয়ে হয়ে যাচ্ছে সব কেমন অন্ধকার লাগছে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে  ......


বস ..ম্যাম আবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে ...(আসলাম)


What ,,,মেঘ আর এক মুহূর্ত না দারিয়ে দৌড়ে ফারহার কাছে গিয়ে ফারহা  কে কোলে তুলে নিয়ে আলাদা একটা রুমে এনে শুইয়ে দেয় ......


জানপাখি চোখ খোলো দেখো দেখো আমি তোমার মেঘ সামনে বসে একবার চোখ খোলো প্লিজ জানপাখি আই প্রমিস ইউ  আর কখনো তোমাকে জ্বালাবো না প্লিজ এখন তো তো চোখ মেলে তাকাও .....কথা গুলো বলতে বলতে মেঘের চোখ ঝাপসা হয়ে আসে পাগলের মতো আচরন করতে থাকে ফারহার হাত পা ম্যাসাজ করতে থাকে মেঘ ততোক্ষনে আসলাম ডক্টর নিয়ে হাজির হয়......


ডক্টর প্লিজ সে সামথিং ..?(মেঘ)


দেখুন মিস্টার চৌধুরি আপনার ওয়াইফ প্রচন্ড রকমের ভয় পেয়েছে এখন সেটা কি দেখে তা আমি জানি না...


আমি জানি ডক্টর ..!! রক্ত (মেঘ)


ওহ আই সি আমি ইনজেকশন পুশ করে দিয়েছি ওনার স্বাভাবিক হতে কিছুটা টাইম লাগবে তবে আপনাকে একটা কথা বলছি আপনার ওয়াইফের রক্তে মারাত্মক ফোবিয়া আছে সেটা আপনি খুব ভালো করেই জানেন তাহলে কেনো তাকে এই ফোবিয়ায় পরতে হচ্ছে ..??দেখুন আমি আপনাকে চার্জ করছি না তবে এটা ওনার জীবনের বেপার তাই বলছি এনেওয়ে আই এ্যাভ টু গো নাও ....


আসলাম ডক্টর কে নিয়ে চলে যেতেই মেঘ ফারহার হাত ধরে চুমু তে ভরিয়ে দিতে লাগলো ..


আই এ্যাম সরি জানপাখি তোমাকে এতো কষ্ট দেওয়ার জন্য বাট বিলিভ মি ওই জানোয়ার টা তোমাকে এভাবে টার্চ না করলে হয়তো তোমাকে এতো টা কষ্ট পেতে হতো না কথা বলতে বলতে মেঘ টের পায় ওর পিছুনে কেউ দারিয়ে আছে না দেখে মেঘ বলে উঠলো ড্যাড ..!!!!!!!!


মেঘ আর কিছু না বলে বেড থেকে উঠে আরহান চৌধুরী কে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো....


মেঘ ছাড়ো আমাকে .. আমি তোমাকে সার্পোট করতে পারবো না তুমি যা করেছো তা অন্যায় ....আরহান চৌধুরী কথা শোনা মাত্র মেঘ আরহান চৌধুরী কে ছেড়ে দিয়ে আবার ফারহার হাত ধরে পাশে বসে পরে....


মেঘ এখুনি ফারহা মামুনি কে বাড়িতে পৌছে দেওয়ার ব্যাবস্তা করো ....


আরমান চৌধুরীর কথা শুনে মেঘের চোখ থেকে যেনো  আগুন ঝরছে হুট করেই ফারহা কে কোলে তুলে নিলো মেঘ.....


কোথায় যাচ্ছো মেঘ ..?? 

.

.

.

.

#চলবে....🌺



Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !